BLANTERVIO103

সুনামগঞ্জে চিকিৎসকসহ আরও আটজন শনাক্ত

সুনামগঞ্জে চিকিৎসকসহ আরও আটজন শনাক্ত
Friday, April 24, 2020
সুনামগঞ্জে ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসকসহ নতুন করে আরও আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন মেয়েশিশু আছে। দুজনের বয়সই ১২।
আজ শুক্রবার সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে সুনামগঞ্জে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪।
নতুন আক্রান্ত হওয়া আটজনের মধ্যে সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসক রয়েছেন। অন্যদের মধ্যে শাল্লা উপজেলায় তিনজন, জামালগঞ্জ উপজেলার দুজন এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও ছাতক উপজেলায় একজন করে।
সিভিল সার্জন বলেছেন, আক্রান্তরা নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তাঁদের মধ্যে চারজন বাইরের জেলায় নানা কাজে ছিলেন। সবার সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যদি কাউকে আইসোলেশনে আনতে হয়, সেটি করা হবে।
সুনামগঞ্জে ১২ এপ্রিল প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন রোগী শনাক্ত হন। এরপর থেকে সুনামগঞ্জ জেলা লকডাউন আছে। ১৬ এপ্রিল শনাক্ত হন দ্বিতীয় ব্যক্তি। এরপর গত বুধবার শনাক্ত হন আর চারজন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সদর হাসাতপালের ওই চিকিৎসক থাকেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায়। তিনি সেখান থেকেই মোটরসাইকেলে জেলা সদরে যাতায়াত করেন। সেখানে তিনি ব্যক্তিগত চেম্বারও করেন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না, ওই চিকিৎসক আসলে কীভাবে সংক্রমিত হলেন। তাঁর করোনার কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়।’
শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, তাঁর উপজেলায় আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে একজন তাঁর ( কামরুল ইসলাম) গাড়িচালক। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ওই গাড়িচালকের (২৫) বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়। তিনি এবং ওই ব্যক্তি ১৪ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারের দেওয়া একটি নতুন গাড়ি আনতে ঢাকায় গিয়েছিলেন। পরে সুনামগঞ্জে আসার পর গাড়িচালকের সামান্য সর্দি-কাশি হওয়ায় দুজনই নমুনা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে গাড়িচালকের করোনা পজিটিভ এসেছে। অন্য দুজনের মধ্যে একজন একটি প্লাস্টিক পণ্যের কোম্পানির গাড়িচালক (২৯)। তিনি কাজ করেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায়। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে আসেন এবং তাঁর কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এরপর থেকে তিনি নিজেই হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ২০ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করেন। অন্যজনের বয়স ৬০। তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে ২১ এপ্রিল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শাল্লা উপজেলায় এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেন।
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজীব চক্রবর্তী জানান, তাঁর উপজেলায় আক্রান্ত ব্যক্তি (৩২) স্থানীয় একটি পাথর ভাঙার কলে শ্রমিকের কাজ করেন। ছাতক শহরেই তাঁর বাড়ি। ২১ এপ্রিল তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এলে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ছাতকে গতকাল আরেকজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রংপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ছাতক শহরে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন।
জামালগঞ্জ উপজেলায় আক্রান্ত হওয়া দুজনের বয়স ১২ বছর। ওই দুই মেয়েশিশু তাদের শ্রমিক মায়েদের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে থাকত। সম্প্রতি তারা বাড়িতে আসে। ২০ এপ্রিল ওই দুই পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সিলেট পাঠানো হয়। জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাজিব মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই উপজেলা প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তি (২১) টাঙ্গাইলে শ্রমিকের কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনিও বাড়িতে আসেন। তাঁর করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান।  see more
 
Share This Article :

TAMBAHKAN KOMENTAR

6022448487890513742